বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গণপূর্ত বিভাগের প্রভাবশালী ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে তাদের অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করবে সংস্থাটি।
দুদক সুত্রে জানা গেছে, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি দুদক এই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। ইতোমধ্যে অনুসন্ধান কর্মকর্তাও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, গত সরকারের আমলে ঠিকাদার সমিতি বিশেষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার কাজ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েকজনের মধ্যে ভাগ-ভাটোয়ারা করতেন গণপূর্তের ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম (মৃত)। তাদের বিরুদ্ধে এসব টাকা বিদেশে পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে।
ওই কর্মকর্তা জানান, গত সরকারের আমলে গণপূর্তের ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান ছিলেন এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুশফিকুর রহমান পালিয়ে গেছেন। তার কোনো খবর নেই। তার অন্যতম সহযোগী গণপূর্তের ঠিকাদার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম বেশ কয়েকবছর আগে মারা গেছেন। তবে শাহে আলমের পাচার করা টাকার বিষয়েও কাজ করবে দুদক। তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে।
এই দুইজন বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ লোপাট করে আত্মসাত করে বিদেশে পাচার করেছে বলে দুদকের কাছে প্রমাণ রয়েছে বালে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
এই দুইজন ছাড়াও আরো ২০ জন ঠিকাদারের বিষয়ে কাজ করছে দুদক।
২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শুদ্ধি অভিযান’ শুরু করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সে বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার গণপূর্তের আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। গণপূর্তের এসব ঠিকাদাররা জিকে শামীমের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছে দুদক।
এদিকে জিকে শামীম গ্রেপ্তারের পর গণপূর্তে অবৈধভাবে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঠিকাদার সমিতির সভাপতি তৎকালীন সভাপতি মুশফিকুর রহমান হান্নান এবং সাধারণ সম্পাদক শাহে আলমকে মুখোমুখি হওয়ার জন্য দুদক তলব করে। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিশেষ এক নেতার প্রভাবে তারা দুদকের নোটিশকে পাত্তা দেননি।
আমারবাঙলা/এমআরইউ
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            