সংস্কার কার্যক্রমে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো মতপার্থক্য নেই জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের নিত্য প্রয়োজন পূরণ না করতে পারলে সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখা একান্ত জরুরি মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ সময় বলেন, বিগত পলাতক স্বৈরশাসকের সময় আমরা দেখেছি গণমাধ্যমের প্রতিটি শাখায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠতা প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল
তিনি বলেন, লেখক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যেকোনো বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে, এটি গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু ভিন্নমতকে দমন ও দলাদলিতে পরিণত করলে কী হতে পারে তা গত দেড় দশকে দেশের জনগণ হাড়ে-হাড়ে টের পেয়েছে। পলাতক স্বৈরাচারের সঙ্গে সঙ্গে তাদের মন্ত্রী-এমপি কিংবা বায়তুল মোকাররমের খতিব, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পলায়নের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে, অবৈধ রাষ্ট্রশক্তি নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণের রায়ই চূড়ান্ত।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি মনে করে সংস্কারের পাশাপাশি একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার। কোনো সরকারই জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে কমপক্ষে ৬ জন সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন। পলাতক স্বৈরাচারের নির্দেশে কমপক্ষে ২ হাজারের বেশি ছাত্র জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের সংগঠনের প্রায় ৪০০ নেতাকর্মী এই লড়াইয়ে নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একে অপরের শত্রু। আমাদের চলমান গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে এই মুহূর্তে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গিয়েছে। বিতাড়িত অপশক্তি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না।
ডিইউজের সভাপতি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানের সঞ্চালনায় সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম আবদুল্লাহ, বর্তমান মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সহ সভাপতি রাশেদুল হক বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
আমার বাঙলা/এনবি
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            