চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনে চাঁদা দাবির ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ এক চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে নাজিরপাড়া রেললাইন সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত মো. দিদারকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান।
পুলিশ জানায়, মামলার বাদী আহাম্মদ ছফা (৪৫) গত পাঁচ বছর ধরে পাঁচলাইশ থানাধীন হামজারবাগের জিলানী লেইনে নুর মোহাম্মদ গংদের মালিকানাধীন নির্মাণাধীন ‘হোসাইন টাওয়ার’ ভবনের কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, মো. দিদার, ইউনুছ (৪২), সাজ্জাদ (৪০) ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫–৬ জন কয়েকদিন ধরে ভবনটির নির্মাণকাজ চালু রাখতে চাঁদা দাবি করে আসছিল। দাবি পূরণ না হলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
এর ধারাবাহিকতায় গত ১৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে কেয়ারটেকারের অনুপস্থিতিতে অভিযুক্তরা ভবনের অষ্টম তলায় অনধিকার প্রবেশ করে। সেখানে তারা প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. ওমর ফারুক ইফাজ ও শ্রমিকদের গালিগালাজ ও মারধর করে আহত করে। একপর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
প্রাণভয়ে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার শ্রমিকদের সাপ্তাহিক খোরাকির ৫০ হাজার টাকা এবং ব্যবহৃত একটি আইফোন ১০ এক্স ফোন তুলে দেন। এরপরও চাঁদার দাবি পূরণ না হলে নির্মাণকাজ বন্ধসহ বড় ধরনের ক্ষতির হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় কেয়ারটেকার আহাম্মদ ছফার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচলাইশ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত মো. দিদারকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মুরাদপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিনসহ ১২ রাউন্ড গুলি এবং ৯টি শটগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে পৃথক একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আমারবাঙলা/এনইউচ