সংগৃহীত
সারাদেশ

ঝিনাইদহে এক যুবককে বিয়ের দাবীতে দুই প্রেমিকার অবস্থান, প্রথমজনের সঙ্গে বিয়ে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামে শাহীন নামে এক যুবককে বিয়ের জন্য দুই প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান শুরু করেন। অবশেষে জয়ী হয়েছেন প্রথম প্রেমিকা রুনা। তার সঙ্গেই বিয়ে হয়েছে ওই যুবকের।

শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শাহীনের বাড়িতে একসঙ্গে দুই তরুণী অনস্থান শুরু করেন। রুনা নামের প্রেমিকার সঙ্গে দুই লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়েছে শাহীনের।

এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় রবিবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় জেলাটির হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান মিনুর বাড়িতে রুনা ও শাহীনের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

শাহীন গাগান্না গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে। আর রুনা কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় শনিবার সন্ধ্যায় রুনা শাহীনের বাড়িতে অবস্থান শুরু করেন। খবর পেয়ে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গার বাসিন্দা আরেক তরুণী সাদিয়া শাহীনকে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান নেন । বিয়ের দাবীতে এক যুবকের বাড়িতে দুই তরুণীর অবস্থানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

এলাকাবাসী আরো জানান, প্রায় দুই বছর ধরে রুনার সঙ্গে শাহীনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তাদের দুই পরিবার বিয়েতে রাজিও ছিল। একপর্যায়ে শাহীনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার কথা জানতে পেরে রুনার পরিবার বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়।

এর মধ্যে দুই মাস আগে সাদিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শাহীনের। এদিকে রুনার অনত্র বিয়ে ঠিক করে তার পরিবার। রুনা সেই বিয়ে না করে শনিবার সন্ধায় পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে চলে আসেন। খবর পেয়ে সাদিয়াও শাহীনের বাড়িতে উপস্থিত হন। তারা দুজনই একসঙ্গে শাহীনকে বিয়ে করবেন বলে মতামত দেন। শাহীনও দুজনকে একসঙ্গে বিয়েতে রাজী হন।

শাহীনের চাচা শামছুল ইসলাম জানান, দুই তরুণী শাহীনকে বিয়ে করার দাবীতে অবস্থান নিলে বড় ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সমস্যার সমাধান করা হয়। প্রথমে যে মেয়ে এসেছিলেন তার সঙ্গেই শাহীনের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শাহীন বলেন, প্রথমে রুনাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। পরে সাদিয়া চলে আসায় সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়। পরে যখন সাদিয়া স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে যান তখন রুনাকে বিয়ে করতে আর কোনো বাধা থাকে না। তারপরও সামাজিক অনেক ঝামেলা পেরিয়ে রাত ১১টায় রুনাকে বিয়ে করেছি ।

বিয়ের দাবীতে অবস্থানরত শাহীনের প্রথম প্রেমিকা রুনা বলেন, আমি প্রথম থেকেই শাহীনকে ভালোবাসি। তাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। পরে সাদিয়া নামের মেয়েটি চলে এলে সমস্যা দেখা দেয়। পরে সাদিয়ে নিজ থেকে চলে যাওয়ায় আমাদের দুজনের বিয়েতে আর কোনো বাধা হয়নি। আমি শাহীনকে বিয়ে করতে পেরেছি, তাতে আমার ভালোবাসা শতভাগ খাটি প্রমাণিত হয়েছে।

হলিধানী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার বলেন, শনিবার সন্ধায় ও রাতে যে দুটি মেয়ে শাহিনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে এসেছিলেন তাদের মধ্যে সদিয়ার বিয়ের বয়স হয় নি।

আমার বাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আলিয়ার সই নকল করে টাকা উত্তোলন, বেদিকা শেঠি গ্রেপ্তার

বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের প্রাক্তন ব্যক্তিগত সহকারী বেদিকা প্রকাশ শেঠিকে গ্...

পাল্লেকেলেতে লিটনদের টি-২০ পরীক্ষা

যেকোনো সিরিজ শুরুর আগের সংবাদ সম্মেলন ভালো কথায় ভরপুর থাকে। নিজেদের চাওয়াকে ম...

১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির নথি গায়েব

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একটি করদাতা কোম্পানির আয়কর নথি গায়েব করে সরকারে...

নির্বাচনে অনিয়মকারী কর্মকর্তা পুলিশের সাজা বৃদ্ধির প্রস্তাব

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও অনিয়মের সঙ্গে সংশ্লিষ্...

শাপলা না হলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না : সারজিস আলম

শাপলা যদি রাজনৈতিক দলের প্রতীক না হতে পারে, তাহলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা