রাঙামাটি–চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেতবুনিয়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত এবং একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে ঘটে যাওয়া এ দুর্ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে আবারও সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
নিহত সিএনজি চালকের নাম হাসান (২২)। গুরুতর আহত গিয়াস উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাউজানে নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রামমুখী এসিআই গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ঔষধবাহী কাভার্ড ভ্যান দ্রুতগতিতে বেতবুনিয়া চেয়ারম্যান ঘাটা অতিক্রম করছিল। একই সময়ে রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রামগামী সিএনজি অটোরিকশার সঙ্গে এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মুহূর্তেই সিএনজি অটোরিকশাটি দুমড়ে–মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চালক হাসান মারা যান এবং যাত্রী গিয়াস উদ্দিন গুরুতর আহত হন।
কাউখালি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ইসহাক বলেন—
“সিএনজি চালক হাসান রাঙামাটি থেকে কাঁচামাল নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় তিনি প্রাণ হারান। ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানচালক পালিয়েছে, তবে ঘাতক ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
রাঙামাটি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন—
“পূর্বের দুর্ঘটনার পর আমি নিজেই স্থানটি পরিদর্শন করেছি। ওই স্থানে যানবাহন অতিরিক্ত গতিতে চলে, তাই দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেশি। গতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে দুর্ঘটনা কমে আসবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই সাইড সাইন বৃদ্ধি ও স্পিড কন্ট্রোল ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন;-
“একই স্থানে কেন বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে-এ বিষয়ে রোড সেফটি জোনকে অবহিত করেছি। তাদের পরামর্শ পেলেই দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, একই স্থানে এর আগেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২৬ এপ্রিল সিএনজি অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। ২ নভেম্বর কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক মোটরসাইকেল চালক প্রাণ হারান।
স্থানীয়দের দাবি, সড়কটির নির্দিষ্ট অংশে গতিনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড বৃদ্ধি না করলে দুর্ঘটনা আরও বাড়তে পারে।
আমারবাঙলা/এসএ