ছবি-সংগৃহীত
লাইফস্টাইল

কোর্ট ম্যারেজ

লাইফস্টাইল ডেস্ক: কোর্ট ম্যারেজ শব্দটির সাথে আমরা খুবই পরিচিত। হরহামেশাই কথাটি শুনতে পাওয়া যায়। তবে আদালতের এই বিয়ে সম্পর্কে অনেক তথ্যই আমাদের অজানা।

আদালতের মাধ্যমে বিয়ে বা কোর্ট ম্যারেজকে অনেকে পূর্ণাঙ্গ বিয়ে বলে মনে করেন। মনে রাখা দরকার, এটি একজন নারী ও পুরুষের একসাথে থাকার জন্য বিয়ের ঘোষণা দেয়া মাত্র- এটি পূর্ণাঙ্গ বিয়ে নয়।

কোর্ট ম্যারেজ বলতে আইনে কোনো বিধান নেই। প্রচলিত অর্থে হলফনামার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিয়ের ঘোষণা দেয়াকে কোর্ট ম্যারেজ বলে।

২০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এই হলফনামাটি লিখে নোটারি পাবলিক কিংবা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। এটি বিয়ের ঘোষণামাত্র।

দেশের পারিবারিক আইন অনুযায়ী- প্রথমে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে, এরপর স্বামী-স্ত্রী চাইলে এই হলফনামা করে রাখতে পারেন। পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিয়ে না করে শুধু এ হলফনামা সম্পন্ন করা উচিত নয়।

পারিবারিক মুসলিম আইনে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া উভয়কে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।

মুসলিম বিয়ে ও তালাক (নিবন্ধন) আইন অনুযায়ী, প্রতিটি বিয়ে অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে। কোর্ট ম্যারেজের পর হলফনামার সঙ্গে সব তথ্য ও তারিখ মিল রেখে কাজির সহযোগিতায় বিয়ের নিবন্ধন করতে হবে।

কার সঙ্গে কার, কত তারিখে, কোথায়, কত দেনমোহর ধার্য, কী কী শর্তে বিয়ে সম্পন্ন হলো, সাক্ষী এবং উকিলের নাম এসব একটা হিসেব সরকারের নথিতে লিখে রাখাই হলো নিবন্ধন।

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিয়ে নিবন্ধন করার দায়িত্ব মূলত বরের। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।

অন্যথায় কাজি ও পাত্রের দুই বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় ধরনের সাজার বিধান রাখা হয়েছে।

কাবিননামা বা নিকাহনামা হলো মুসলিম বিয়ের চুক্তিপত্র। এটা হচ্ছে বিয়ের দলিল। কাবিননামা থাকলে অনেক জটিলতা এড়ানো সম্ভব। স্ত্রীর দেনমোহর ও ভরণপোষণ আদায়ের জন্য কাবিননামার প্রয়োজন হয়।

সন্তানের বৈধ পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য এবং স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার হিসেবে সম্পত্তি আদায়ের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রি করা কাবিননামার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে কাবিননামা ছাড়া শুধু বিয়ের হলফনামা সম্পন্ন করা হলে দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে বৈবাহিক অধিকার আদায়।

পারিবারিক হিন্দু বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই হিন্দু আইনের প্রথা মেনেই প্রাপ্তবয়স্ক পাত্র-পাত্রীর মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে।

প্রচলিত হিন্দু বিয়েতে নিবন্ধনের বিষয়টি ঐচ্ছিক করা হয়েছে। তবে বিয়ে নিবন্ধন করে নেওয়াই উচিত। হিন্দুপ্রথা না মেনে হলফনামা করা হলেও এতে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায় বলা যাবে না।

দেশের অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে নিজস্ব আইনে ও রীতিতে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। কোর্টে গিয়ে শুধু হলফনামা করে কথিত কোর্ট ম্যারেজ না করে যথাযথ পদ্ধতিতে পারিবারিক আইনকানুন মেনেই বিয়ে সম্পন্ন এবং এ–সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সম্পাদন করা উচিত।

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

স্বামী-স্ত্রী সেজে মাদক সম্রাট স্বপন আটক 

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দীর্ঘদিনের পরোয়ানাভুক্ত পলাতক মাদক কারবারির সম্রাট স...

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষার্থী-শিক্ষক

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের (৩নং ওয়ার্ড) মধ্য চরভূতা সরকারি প্র...

১৩ নভেম্বরই শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘোষণা: প্রসিকিউটর

আগামী ১৩ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায়ের ত...

৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভি

পোশাক শ্রমিক মিনারুল হত্যা মামলাসহ ৫ মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক...

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, রদবদল প্রশাসনে

এবার মাঠ প্রশাসনে নজর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুত...

ইবিতে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস উদযাপন

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) উদযাপিত হয়েছে আন্তর্জা...

মোরেলগঞ্জে সুপারির বাম্পার ফলন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অর্থকারী ফসল সুপারির বাম্পার ফলন হওয়ায় হাট-বাজারগুলো কে...

৬ মিনিটেই শেষ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিট

আগামী ১৮ নভেম্বর এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাং...

সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর সুপারিশ

গড় এলসি মূল্য, ইনবন্ড, এক্সবন্ড ও ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও ভোজ্য...

“নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ”

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা