সাজু আহমেদ: জাগরণী থিয়েটারের জনপ্রিয় প্রযোজনা নাটক ‘রাজার চিঠি’। ঢাকার অদুরে সাভারের অন্যতম নাট্য সংগঠন জাগরণী থিয়েটারের নন্দিত এই প্রযোজনাটির ইতোমধ্যে ৪৯তম প্রদর্শনী হয়েছে। অচিরেই নাটকের ৫০তম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে জাগরণী থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক স্মরণ কুমার সাহা গণামধ্যমকে জানান আগামী ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭-১৫ মিনিটে জাগরনী থিয়েটারের আলোচিত ও প্রশংসিত প্রযোজনা ‘রাজার চিঠি’ নাটকের ৫০তম মঞ্চায়ন হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালারর প্রধান মিলনায়তনে নাটকটির বিশেষ প্রদর্শনী হবে। মাহফুজা হিলালী রচিত নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন দেবাশীষ ঘোষ। আর নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন স্মরণ কুমার সাহা, শাহনা জাহান সিদ্দিকা, শ্রেয়া সাহা স্বর্ণা, জুলিয়েট সুপ্রিয়া সরকার, মো. ইয়াসিন শামীম, অনিকেত পাল, মো. রফিফুল ইসলাম রনি, সজীব ঘোষ, অথৈ দাস, বিধান বিশ্বাস, আবিদ হোসেন, ইমন হোসেন প্রমুখ। স্মরণ সাহা আরও জানান নাটকের আলোক পরিকল্পনায় ঠান্ডু রায়হান, কোরিওগ্রাফি অনিকেত পাল, পোষাক পরিকল্পনা এনাম তারা সাকি, সংগীত পরিকল্পনা রামিজ রাজু ও সোয়েব হাসান মিতুল, রূপসজ্জা রফিকুল ইসলাম রনি,আবহসংগীত সঞ্চালক মো. বাহারুল ইসলাম বাহার।
‘রাজার চিঠি’নাটকের গল্পে তুলে ধরা হয়েছে ১৯৩৯ সালে শাহজাদপুরের শ্রী হরিদাস বসাকের একটি চিঠির উত্তরে চিঠি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এ চিঠি ও রবীন্দ্রসাহিত্যের প্রভাবে হরিদাস বসাকের জীবন রবীন্দ্রনাথের ‘ঠাকুরদা’ চরিত্রের মতো হয়ে ওঠে। এ কাহিনী নিয়েই ‘রাজার চিঠি’ নাটকটি লেখা। একসময় যুবক হরিদাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। এ নিয়ে তার পরিবার-পরিজন আর বন্ধু বান্ধব হাসাহাসি করেছিল। কিন্তু দেখা যায়, একদিন রবীন্দ্রনাথ সে চিঠির উত্তর দিয়েছেন। এ সময় হরিদাস বসাককে সবাই সমীহ করতে শুরু করে। অন্যদিকে হরিদাস বসাকও সাহিত্য সংস্কৃতির কাজে নিজেকে সঁপে দেন। এরপর ১৯৪৭ আর ১৯৭১ সালে নানা ঘটনা কেন্দ্র করেই এগিয়ে যায় নাটকটির গল্প। নাটকটি প্রসঙ্গে জাগরণী থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক স্মরণ সাহা বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা চিঠিকে কেন্দ্র করে এ নাটকের গল্প। এর আগে যতবার নাটকটির মঞ্চায়ন হয়েছে আমরা বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি। দেখতে দেখতে নাটকটির ৫০তম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। আশা করছি ৫০তম মঞ্চায়নেও দর্শক নাটকটি আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করতে আসবেন। দর্শকের জন্যই আমরা কষ্ট করি। তাই দর্শক নাটক দেখতে এলে আমরা সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত হই।