কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ডে আলোচিত সেই নারী নিজের আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। এবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এর আগে শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে মামলা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ওই ভুক্তভোগী।
পরিবারের সিদ্ধান্তে মামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন ওই নারী। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে ভুক্তভোগী নিজেই তার এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই নারী বলেন, ‘আমি ধর্ষণের শিকার হয়েছি, তাই মামলা চালাবো। রবিবার স্বামী প্রবাস থেকে মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখন পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মামলা লড়বো। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাবো।’
মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে হওয়া দুটি মামলারই বাদী ভুক্তভোগী। ধর্ষণ মামলায় একমাত্র এজাহারনামীয় আসামি ফজর আলী গ্রেফতার হয়েছেন। অন্যদিকে পর্নোগ্রাফি মামলার এজাহারনামীয় চার আসামিও গ্রেফতার হয়েছেন। তবে এ মামলার অজ্ঞাতনামা আরো ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার এসআই রুহুল আমীন বলেন, ‘ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হবে। ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে। মামলা তদন্তে রিমান্ড প্রয়োজন। কারা, কেন, কি উদ্দেশে ঘটনা, ভিডিও ধারণ ও তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে জিজ্ঞাসাবাদে সব বেরিয়ে আসবে।’
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ‘ভিকটিম মামলা করেছেন। আমরা তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
বর্তমানে ধর্ষণ মামলার আসামি ফজর আলী আহতাবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আদালতকে রবিবারই লিখিতভাবে জানিয়েছে পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে আসামিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজনার্স সেলে (হাসপাতালে) রাখা হয়েছে।
আমারবাঙলা/জিজি