অভিযুক্ত গ্রেপ্তার দুজন, ছবি : সংগৃহীত
অপরাধ

স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ শেষে লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেয়েটি রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৬ জানুয়ারি মা-বাবার কাছে কেনাকাটার কথা বলে বাইরে বেরিয়েছিল সে। পরে আর বাসায় ফেরেনি। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে হাতিরঝিল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, হাত-পা বেঁধে পাঁচজন মিলে ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে তারা হত্যা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার সাব-ইন্সপেক্টর মেহেদি হাসান জানান, ওই কিশোরী নিখোঁজ হয় গত ১৬ জানুয়ারি। পরে ১৯ জানুয়ারি তার বাবা থানায় একটি জিডি করেন। জিডির পর পুলিশ তদন্তে নামে।

২৭ জানুয়ারি একটি মামলা করেন মেয়েটির বাবা। তদন্তে কিশোরীর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রবিন নামের এক যুবকের সঙ্গে তার যোগাযোগের তথ্য পায় পুলিশ। গত ৩০ জানুয়ারি রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাব্বি মৃধা নামের আরেকজন যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর দুজনকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। রিমান্ডে তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, পাঁচজন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে হত্যা করে হাতিরঝিলে লাশ ফেলে দিয়েছেন।

মেহেদি হাসান আরো জানান, রাব্বি ও রবিনের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে রবিবার হাতিরঝিল থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মেয়েটিকে হত্যার দায় স্বীকার করে রবিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন রবিন ও রাব্বি। সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, কিশোরীটিকে হত্যার পর মরদেহ বস্তাবন্দি করা হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতেই মহাখালী থেকে রিকশায় করে মরদেহ হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজার সামনের সেতুতে নিয়ে আসে অভিযুক্তরা। পরে মরদেহটি সেতু থেকে হাতিরঝিলে ফেলে দিয়ে যে যার বাসায় চলে যান।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণখান জোন) মো. নাসিম এ-গুলশান বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে রবিনের পরিচয় হয়। পরে তাকে মহাখালীর একটা বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করেন রবিনসহ পাঁচজন। ধর্ষণের সময় কিশোরীর হাত-পা বাঁধা এবং মুখে কাপড় গোঁজা ছিল। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য তিনজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

দক্ষিণখান থানার ওসি মোহাম্মদ তাইফুর রহমান মির্জা জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর বাবা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন দক্ষিণখানে। অভিযুক্ত রবিন পেশায় একজন গাড়িচালক। রাব্বির নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। অভিযুক্ত অন্য তিনজনও রবিনের পূর্বপরিচিত।

কিশোরীটির বাবা বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল, মেয়েটি লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হবে। কিন্তু এই সন্ধ্যার সময় আমি মেয়েকে কবরে শুইয়ে দিচ্ছি। আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী প্রত্যেককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে আর কোনো মেয়ে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়।’

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বৈষম্যবিরোধী নেতা রিয়াদের আরেকটি বাসার খোঁজ, মিলল নগদ টাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান রিয়াদের আর...

গণভবনই থেকে এসেছিল হেলিকপ্টার থেকে গুলি ও ব্লক রেইডের সিদ্ধান্ত

জুলাই মাসে ঢাকায় সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হেলিক...

ইউনূস সরকারের নিরাপদ প্রস্থানের সময় ফুরিয়ে আসছে

অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সময় ফুরিয়ে আসছে...

যুক্তরাষ্ট্রে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট অক্ষত

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় নেভাল এয়ার স্টেশন লেমুরের কাছে মার্কিন নৌ...

উলিপুরে নাশকতার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

কুড়িগ্রামের উলিপুরে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ধরনীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম...

ইউনূস সরকারের নিরাপদ প্রস্থানের সময় ফুরিয়ে আসছে

অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সময় ফুরিয়ে আসছে...

ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ

হরর, অতিপ্রাকৃত, ফ্যান্টাসি ঘরানার সিনেমা নিয়েই মূলত কানাডার ফ্যান্টাজিয়া আন্...

এক সিদ্ধান্তেই বদলে গেল জীবনটা

২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘মাসান’। সমালোচকপ্রিয় ও বহুল প্রশংসিত এ...

ফিরেই দলকে নাটকীয় জয় এনে দিলেন মেসি

এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেই পুরোনো চেহারায় দেখা গেল লিওনেল মেসিকে। বাং...

নাঈম এবার অস্ট্রেলিয়া সফরে

বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট বাদ দিলে বাংলাদেশ শেষবার অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ খেলেছে ২০০৮ স...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা