জুলাই আন্দোলনে বাধাদান, ধর্ষণের হুমকি ও আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত করার অভিযোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রত্যেকেই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় রাজনীতি করতেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটি ও শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ অনুমোদন করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শাস্তিপ্রাপ্ত ১৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত, তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর যারা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছে, তাদের অর্জিত সনদ বাতিল করা হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন জাককানইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস, শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম রিয়েল, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫–১৬ শিক্ষাবর্ষের আনাস সরকার, ইইই বিভাগের ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের জুবায়ের আহমেদ সাব্বির (অ্যালেক্স সাব্বির), সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. ইনজামামুল হাসান, ইএসইই বিভাগের ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের কে এম রাজু, বাংলা বিভাগের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের মোছা. তৃণা মির্জা, ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের রিয়াজ উদ্দিন, ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের নাইম আহমেদ দুর্জয়, চারুকলা বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের হাসিব সিদ্দিকী, একই শিক্ষাবর্ষের তাসনীমুল মুবীন, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের মো. মোস্তাকিম মিয়া এবং দর্শন বিভাগের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের মো. পারভেজ মাতুব্বর।
উল্লেখ্য, ১৬ এপ্রিল বৈষম্যবিরোধী জুলাই আন্দোলনে বাধা, হুমকি ও চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তদন্তে ড. মো. হাবিব–উল–মাওলাকে প্রধান ও প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমানকে সদস্যসচিব করে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
● আমারবাঙলা/এফএইচ