সংগৃহীত ছবি
সারাদেশ

বিএনপির রাজপথের সৈনিক সাইদুর রহমান বাচ্চু

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ৭৩ মামলার আসামি, গ্রেফতার হয়েছেন ১৮ বার। তবুও রাজনীতির মাঠ ছাড়েননি বরং সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে নেতা-কর্মীদের অনুপ্রাণিত করেছেন। একের পর এক মামলা-হামলা উপেক্ষা করে শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মাঠের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত রেখেছেন সিরাজগঞ্জ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। বিভিন্ন সময় জেল-জুলুম ও রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে কথাগুলো বলছিলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ।

তিনি জানান, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সিরাজগঞ্জ বিএনপির তৃণমূল থেকে শুরু করে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা যখন মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন তখনই ছুটে এসেছেন সাইদুর রহমান বাচ্চু ভাই।

জানা যায়, ত্যাগী নেতা হিসেবে ভূমিকা রাখায় সাইদুর রহমান বাচ্চু জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ পান ২০১৬ সালে। এরপর থেকেই জেলার প্রথম সারির নেতাদের সমন্বয়ে তারেক রহমানের নির্দেশনায় দল গোছানোর কাজে নেমে পড়েন। আশির দশকেও রাজনীতির মাঠে সোচ্চার ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সালে মজিদ খানের শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গ্রেফতার হন সাইদুর রহমান বাচ্চু। সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে ১৯৮৮ ও ৮৯ সালে বিপুল ভোটে জিএস নির্বাচিত হন। স্বৈরাচার এরশাদ পতনে রাজপথে সম্মুখ থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৩ সালে চেম্বার অব কমার্স ব্যবসায়ীদের ভোটে সর্বোচ্চ ভোটে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত। এরপর রাজনৈতিক নানা চরাই-উৎরাইয়ে রাজপথে সামনে থেকে ভূমিকা রেখেছেন। একাধারে জেলা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা বিএনপির অন্যতম এই নেতা।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক আহসান হাবিব উজ্জ্বল জানান, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের হামলা-নির্যাতনে যখন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ভয়ে আত্মগোপনে। তখন পাশে ছিলেন আমাদের নেতা বাচ্চু ভাই। বিভিন্ন সময় ৭৩টি মামলার এক নাম্বার আসামি ছিলেন তিনি। ১৮ বার গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছেন। দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এখনো রাজপথে জেলা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সংগ্রাম করছেন।

সিরাজগঞ্জ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামিম খান জানান, সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু ছোটবেলা থেকেই রাজনীতিতে একজন সক্রিয় কর্মী। ২০১৬ সালে সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হওয়ার পর অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে গেলেও সে দলীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সিরাজগঞ্জ বিএনপিকে সক্রিয় রেখেছেন। সে জাতীয়তাবাদী দলের নেতাদের মামলা-মোকদ্দমা মোকাবেলা, কারারুদ্ধদের খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশিপাশি অসুস্থ নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দলীয় কর্মসূচি অব্যাহত রেখে সে সবসময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

জুলাই-আগস্টে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান বাচ্চু একান্ত আলাপচারিতায় বলেন, আমি শহীদ জিয়ার সৈনিক। আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আমার নেতা তারেক রহমান, তিনি ভার্চুয়ালি আমাকে সবসময় দিক নির্দেশনা দিতেন। দেশের মানুষ ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতা সরকারবিরোধী আন্দোলনে অগ্রসর হতে থাকেন। জুলাই মাসের শুরু থেকেই কেন্দ্র থেকে নানা কর্মসূচি অব্যাহত থাকে। আমি জেলা ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদলসহ সকল অঙ্গসংগঠন ও ছাত্র সমন্বয়কদের সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি। এক পর্যায়ে ৪ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের টার্নিং পয়েন্টে দিন ঘনিয়ে আসে। জেলার সকল রাজপথ দখল করে নেয় ছাত্র-জনতা ও বিএনপির কর্মীরা। এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়লে ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দেশ উত্তাল হয়। পতন ঘটে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের।

রাজপথের আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যত দিন ধরে রাজনীতি করি, আমি একটা কথা বিশ্বাস করি, কেউ রাজনীতিতে ফাঁকি দিলে রাজনীতিও তাকে ফাঁকি দেবে। আমি দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে ছিলাম, আছি। আমার জীবনই রাজপথের। আমি দুঃসময়ে পিছুপা হইনি। আমরা নয় ভাই-বোন। আমরা খুব কষ্ট করে মানুষ হয়েছি। আমি আমার বাবা কিংবা ভাইয়ের আলোয় আলোকিত না। আমি পরিশ্রম করে এতো দূর এসেছি। আমি দুঃসময়ে বিএনপির আপামর নির্যাতিত নেতাদের পাশে ছিলাম, এখনো আছি, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকব। আমার মা বলেছে, ঝড় দেখে কোনো দিন ভয় পাবে না। আমি ৭৩ মামলার আসামি, বিভিন্ন সময় জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। আমাকে অনেকবার রাজপথ থেকে সরানোর চেষ্টা করেও কেউ সফল হয়নি।

সম্প্রতি বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ নিয়েও কথা বলেছেন এই নেতা। তিনি বলেন, আমার নেতা তারেক রহমান কঠোর নির্দেশ কোনো প্রকার চাঁদাবাজি-দখলবাজি চলবে না। হিন্দু ভাইদের নিরাপত্তা, নিরপরাধ কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। ইতোমধ্যে দল থেকে বিএনপির নামধারী অতিউৎসাহী দুষ্কৃতিকারী একশো জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

আমার বাঙলা/এমআর

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মালয়েশিয়ার দূতাবাসে আটকে আছে মনিকার যোগদান

পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আদেশের পরও মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগ দিতে পারছে...

গান বাংলার প্রধান নির্বাহী তাপস গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন গান বাংলার প্...

৬ মাসে বিদেশ গেছেন ৫ লাখের বেশি কর্মী

সাধারণ ও শিল্প শ্রমে অভিবাসী বেশি, দক্ষ কর...

ট্রাম্প না কমলা, কে হাসবেন বিজয়ের হাসি?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এখন ঘণ্টার গণনায় পড়েছে। এ নির্বাচনকে নিয়ে...

ইরানের সেই তরুণী গ্রেপ্তারের পর কোথায় আছেন অজানা!

হিজাব ঠিকমতো পরা হয়নি বলে ইরনের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছিলে...

ঝিনাইদহে অপসারণকৃত পৌর কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবি

অপসারণকৃত পৌর কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে আজ ম...

ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় হামলার নির্দেশ খামেনির

গাজা ও লেবাননে সংঘাতসহ নানা ইস্যুতে ইসরায়েলের ওপর...

গুম কমিশনে ১৬০০ অভিযোগ জমা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুমের ঘটনা তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত কমিশনে এ...

সাপ পথ চলতে আঁকাবাঁকা হয় কেন?

সাপ হাত-পা বিহীন দীর্ঘ শরীরের, মাংসাশী এক প্রকার সরীসৃপ। সোজা ও লম্বাটে ধূর্ত...

দুর্লভ তৈজসপত্রের ‘শাহজাহান সংগ্রহশালা’ 

যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর বাজারের সাইকেল মেকা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা