ফেনী সাহিত্য সভার আয়োজনে প্রথমবারের মতো ‘সেলিম আল দীন সাহিত্য পুরস্কার ২০২৫’ পেয়েছেন প্রখ্যাত লেখক, চিন্তক ও গণবুদ্ধিজীবী ড. সলিমুল্লাহ খান। মঙ্গলবার (২০ মে) বিকালে ফেনী শহরের ইস্টিশন রেস্টুরেন্টের কনভেনশন-দরবার হলে সমকালীন বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ড. সলিমুল্লাহ খানকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখককে ক্রেস্ট, প্রশংসাপত্র ও ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
পরের পর্বে সলিমুল্লাহ খান প্রদান করেন একক বক্তৃতা; বিষয় ছিল: স্বাধীনতা, মনুষ্যত্ব, সম্মান- কাজী নজরুলের তিন উত্তরাধিকার।
পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আমি পুরস্কার কম পেয়েছি। গত বছর আমি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছি। এর আগমুহূর্তে ফেনী সাহিত্য সভা আমাকে এ পুরস্কারটির জন্য মনোনীত করে। ‘সেলিম আল দীন সাহিত্য পুরস্কার ২০২৫’ প্রাপ্তির মাধ্যমে আমার দায়িত্ববোধ আরো বেড়ে গেলো। আজকের আয়োজনে উদ্যোক্তাদের আন্তরিকতায় আমি অভিভূত। আমি আপনাদের কাছে এইজন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সেলিম আল দীনকে নিয়ে আমি ভেবেছি। সুযোগ হলে ভবিষ্যতে তাকে নিয়ে আমার চিন্তা প্রকাশ করবো।’
ফেনী সাহিত্য সভার আহ্বায়ক কবি-গবেষক শাবিহ মাহমুদের সভাপতিত্ব ‘সেলিম আল দীন সাহিত্য পুরস্কার ২০২৫’ অর্পণ অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইসমাইল হোসেন এবং ফেনীর প্রবীণ কবি মনজুর তাজিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেনী সাহিত্য সভার সদস্য সচিব বকুল আকতার দরিয়া। পুরস্কার প্রদানের সময় মঞ্চে আরো ছিলেন ফেনী সাহিত্য সভার জ্যেষ্ঠ সদস্য কবি মো. আবদুল ওয়াদুদ, গল্পলেখক নুরুল আমিন হৃদয়, কবি সৈকত রায়হান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে ফেনী সাহিত্য সভা কর্তৃক প্রথমবারের মতো ফেনী সাহিত্য সম্মেলনে অংশ নিতে না-পারায় গত মঙ্গলবার ফেনী এসে সলিমুল্লাহ খান পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন।
‘সেলিম আল দীন সাহিত্য পুরস্কার ২০২৫’ প্রাপ্ত গৌড়জন ড. সলিমুল্লাহ খানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূইয়া, গল্পকার দীলতাজ রহমান, অ্যাডভোকেট-কবি জিয়াউদ্দিন বুলবুল, সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক সংগঠক আসাদুজ্জামান দারা, সেলিম আল দীনের ভাতিজা ও সেলিম আল দীন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কুদরাত-ই-খুদা পিকাসো, নজরুল একাডেমি-ফেনী শাখার সভাপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ তিতু প্রমুখ। পরে শিশুদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আমারবাঙলা/ইউকে