অপরাধ

১০ বছরের সাজা থেকে খালাস আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থপাচারের মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন আলোচিত ঠিকাদার ও সাবেক যুবলীগ নেতা এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম।

এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিচারপতি এএসএম আব্দুল মবিন ও বিচারপতি জাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই অর্থপাচার আইনের মামলায় আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

এছাড়া তার ৭ দেহরক্ষীর চার বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা করা হয়। ৬০ দিনের মধ্যে এ জরিমানা পরিশোধ না করলে তাদের আরও এক বছরের সাজা ভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব। নিকেতন এ-ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাড়িতে তার অফিসে র‌্যাব ১১ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। তার কার্যালয় থেকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এরপর জি কে শামীমের বিরুদ্ধে র‌্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিংয়ের তিনটি মামলা করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে নিজ নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে আসছিলেন। বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন।

মামলার তদন্ত সূত্রে জানা যায়, জি কে শামীম ও তার পরিবার বাংলাদেশ থেকে অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে মজুত রেখেছে। এ ছাড়া আসামি যেকোনো সময় মজুত করা অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রক্রিয়া নিতে পারে। মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের স্বার্থে অপরাধলব্ধ আয়সংক্রান্ত ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। আসামির অপরাধলব্ধ আয় অবরুদ্ধ না হলে ব্যাংক হিসাবে জমা করা অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে আইনের উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে। ওই হিসাবগুলোতে কয়েকশ’ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানা যায়।

আমারবাঙলা/জিজি

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আমাদের উত্তরা ফাউন্ডেশন-এর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

রাজধানীর উত্তরায় সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠন আমাদের উত্তরা ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে...

পল্লবীতে হেফাজতে মৃত্যু : এসআই জাহিদসহ ৩ জনের আপিলের রায় রবিবার

রাজধানীর পল্লবী থানা হেফাজতে ইশতিয়াক হোসেন জনি নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ম...

সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়নের মানববন্ধন

গাজীপুরে প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে...

হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলো : ঢাবি উপাচার্য

২০২৪ সালের ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সকল হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্...

তারেক রহমানই দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী : মির্জা ফখরুল

তারেক রহমানই দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব ম...

ঋতুপর্ণার বাড়ি নির্মাণ করে দেবে বিসিবি

শনিবার (৯ আগস্ট) ম্যারাথন এক মিটিং হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। ১৪...

ছেলের জন্মদিনে সরব পরী, নীরব রাজ

সামাজিকমাধ্যমে বেশ সরব চিত্রনায়িকা পরী মণি। পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনের অনেক খব...

সাংবাদিক তুহিন হত্যা : প্রিজনভ্যানে মামলার আসামির ‘ধূমপান’

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিজান ওরফে কেট...

পুলিশের উপকমিশনার কাজী মনিরুজ্জামান বরখাস্ত

ডিএমপির সাবেক উপপুলিশ কমিশনার কাজী মনিরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত...

সড়কে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ যোগাযোগ বন্ধ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্থায়ী...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা