কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডে (কেজিডিসিএল) প্যানেল আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর এবং হাজী জরিফ আলী লিগ্যাল এইড ও পথশিশু কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন পারভেজ।
সংস্থাটির আইন বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম তালিকাভুক্ত করলে তিনি নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্বপূর্ণ আইনগত কার্যক্রম তদারকিতে তিনি ভূমিকা রাখবেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মধ্যম মাদার্শা গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও এইচ.এ.আর কর্পোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন এবং পরিচালক রওশন আরা বেগমের জ্যেষ্ঠ সন্তান অ্যাডভোকেট পারভেজ। পারিবারিকভাবে ব্যবসা ও সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত এই পরিবারের সদস্য হিসেবে তিনি ছোটবেলা থেকেই সমাজমুখী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন।
২০১০ সাল থেকে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ বিভিন্ন আদালতে নিয়মিত আইন পেশায় নিয়োজিত অ্যাডভোকেট পারভেজ বহু গুরুত্বপূর্ণ ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা পরিচালনা করেছেন। পেশার শুরু থেকেই নিষ্ঠা, দক্ষতা ও নৈতিকতার জন্য তিনি সহকর্মীদের কাছে প্রশংসিত।
কেজিডিসিএলের আগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)-এর প্যানেল আইনজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেই সময় সংস্থার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, জমি-সংক্রান্ত বিরোধ এবং আইনি জটিলতা মোকাবিলায় তার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।
আইন পেশার পাশাপাশি অ্যাডভোকেট পারভেজ সামাজিক ও মানবাধিকার রক্ষায়ও সক্রিয়। তিনি ‘ভয়েস ফর চট্টগ্রাম’–এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পথশিশু, সুবিধাবঞ্চিত মানুষ এবং নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।
এ ছাড়া তিনি হাজী জরিফ আলী লিগ্যাল এইড ও পথশিশু কল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান হিসেবে অসহায় মানুষের জন্য আইনি সহায়তা প্রদান এবং বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
কেজিডিসিএলের প্যানেল আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়াকে তার ক্যারিয়ারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বলে দেখছেন সহকর্মীরা। প্রতিষ্ঠানটির আইনি কার্যক্রম আরও গতিশীল ও নিয়মতান্ত্রিক করতে তার অভিজ্ঞতা ও পেশাগত দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন পারভেজ বলেন, “রাষ্ট্রীয় ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আইনি দায়িত্ব পালন বড় সম্মানের। আমি সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যেতে চাই।”